• মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫, ১০:৩৫ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ
সুনামগঞ্জে টাঙ্গুয়ার হাওরে হাউজবোটে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আইন সংস্কার: প্রায়োগিক শাসনই আইনের সার্থকতা : মাওলানা আতিকুর রহমান কামালী সরিষাবাড়ীতে কর্মী ও জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে তিন উপজেলার দুঃখ’ চণ্ডিডহর: একটি সেতুর অপেক্ষায় দিরাই-শান্তিগঞ্জ ও জগন্নাথপুরের লাখো মানুষ কিস্তি দিতে না পারায় গৃহবধূর আংটি ও বদনা নিয়ে গেলো এনজিও দোয়ারাবাজারে দিনব্যাপী গণসংযোগ করেছেন সুনামগঞ্জ-৫ আসনের জমিয়তের প্রার্থী আলহাজ্ব নূরুল হক সরিষাবাড়ীতে বিএনপি’র জনসভা অনুষ্ঠিত শান্তিগঞ্জ প্রেসক্লাবের মাসিক সভা সম্পন্ন রওজাতুল কুরআন মাদরাসা হরিনগর-৫ম বার্ষিক ওয়াজ মাহফিল-১৩ ডিসেম্বর আজ প্রস্তুতি সভা সম্পন্ন সত্তরে ইকবাল কাগজী বিটিভির ‘নতুন কুঁড়ি’ প্রতিযোগিতায় দেশসেরা দোয়ারাবাজারের এহসানুল হক ধ্রুব

সিলেটে হেফাজত নিয়ে নানান উদ্বেগ

রিপোর্টার নাম : / ২০১ সময় :
প্রকাশের সময় : সোমবার, ২৩ জুন, ২০২৫

◑◑শিব্বীর বিন রশীদ◑◑ সিলেট থেকে

সম্প্রতি সিলেটে হেফাজতে ইসলামের বৈঠক নিয়ে চলছিল নানান পক্ষ-বিপক্ষের বাকবিতণ্ডায়। যা গড়াতে গড়াতে রাজনীতিতে চলে যায় এবং সর্বশেষ আজকের নির্ধারিত বৈঠককেও আশাহত করে। এবং বারবার স্থানান্তর করতে বাধ্য করে।

সোমবার (২৩ জুন) হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বানে অনুষ্ঠিত বৈঠকের জন্য প্রথমে এদারা ভবনে বসা হলেও পরবর্তীতে সার্থান্বেষীদের কারণে তা জামেয়া দরগাহ সিলেট এ নিয়ে আসা হয়। কিন্তু এখানেও দুষ্কৃতকারীদের থেকে বৈঠকটি নিরাপদ থাকেনি।

অবশেষে হেফাজতের কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা জুনায়েদ আল-হাবিব’র প্রস্তাবে বৈঠকের সবাই শামিমাবাদ জামিয়ায় সংঘটিত হোন। এরই মধ্যে অনেক তৌহিদি জনতা আশাহত হয়ে বৈঠক থেকে সরে আসেন এবং মন্তব্য করেন ‘হেফাজত এখন নিজেই হেফাজত নয়। এটা দলীয় নেতৃবৃন্দের খপ্পরে পড়ে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহৃত হতে যাচ্ছে। তাই আমরা নিজেদেরকে আপাতত হেফাজত মুক্ত রাখছি’।

আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ গাছবাড়ী রহ. এর ইন্তেকালের পর হেফাজতের অফিসিয়াল কার্যক্রম ধীরেধীরে জামেয়া দরগাহ থেকে সরে যায় এবং কুচক্রী মহল নিজেদের স্বার্থে সিলেটের হেফাজতকে কব্জায় নিয়ে এর নেতৃত্বে প্রভাব বিস্তার করার অপচেষ্টা চালায়। যারা সংখ্যায় কম হলেও চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্রে পারদর্শী এবং ভয়ংকর।

এরই সূত্রপাত ধরে আজ দুপুরে হেফাজতে ইসলামের শুভাকাঙ্ক্ষী তরুণ আলেম মাওলানা সাদিকুর রহমান তার ফেইসবুকে লিখেন একটি গোষ্ঠি “আল্লামা আহমদ শফী (রাহিমাহুল্লাহ)-এর ইন্তেকালের পর সিলেটের একটি প্রতিষ্ঠানে আনুষ্ঠানিক বৈঠক করে তৎকালীন মহাসচিব ও পরবর্তী আমীর আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী (রাহ.)-কে ‘খুনি’ আখ্যা দিয়ে তার বিচারের দাবি তোলে—যা ছিল হেফাজতবিরোধী গভীর ষড়যন্ত্র এবং তা হয়েছে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকারের প্রত্যক্ষ মদদে।

তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন—অনেক ভালো মানুষকেও আমরা এই গোষ্ঠীর সঙ্গে চলতে দেখছি। হয়তো তারা অবচেতনভাবে এই ষড়যন্ত্রের ফাঁদে পা দিচ্ছেন।
অপরদিকে মাওলানা আমিনুল হক বর্তমান নেতৃবৃন্দের প্রতি অনাস্থা রেখে বলেন “ফ্যাসিস্টের কোলে যাদের যৌবন! বৃদ্ধাকালে তারা হেফাজতের কোলে।”

এবং তিনি আরো আক্ষেপের সাথে জানান —(আমরা) পরিচিত হেফাজতের কেন্দ্রীয় কয়েকজন নেতাকর্মীদের সাথে (সিলেটের) বিষয়টা আলোচনা করি! বিশেষ করে মামুনুল হক সাহেবের বাসায় আতাউল্লাহ আমিন সাহেব’কে বিষয়টা ইনর্ফম করার পরও তেমন আমলে নেননি, আমরা ছোট বলে…..

এবং তিনি যুবক-তরুণদের রক্তদানের ইতিহাসকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন; “প্রতিটি আন্দোলনের প্রথম সারিতে এবং রক্ত দেওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের মত অবুঝ ছোটদেরই দিতে হয়েছে।”

তার এমন কথা থেকে সহজেই অনুমেয় হেফাজত এখন আর নিজেই হেফাজত নয়। তাই হেফাজতকে হেফাজত করতে সচেতন অরাজনৈতিক তরুণ আলেমদেরকেই এগিয়ে আসতে হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরোও দেখুন....
https://slotbet.online/