✒️মেরাজ বিন আশকর
হিজরি সনের শুরু রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মক্কা থেকে মদিনা হিজরতের সময় থেকে। হিজরি সন কবে চালু হয় তা নিয়ে অবশ্য মতভিন্নতা আছে। একটি মত হলো রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মক্কা থেকে মদিনা মুনাওয়ারায় আগমন করেন রবিউল আউয়াল মাসে। ওই সময় থেকে তারিখ গণনা শুরু হয়।
এ সম্পর্কে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য ভাষ্য হলো দ্বিতীয় খলিফা হজরত উমর (রা.) এর খেলাফত আমলে হিজরি সনের তারিখ গণনা শুরু হয়। একদা হজরত আবু মুসা আশআরি (রা.) খলিফা হজরত উমর (রা.)-কে পত্র লিখে বলেন, আপনার নির্দেশগুলো আমাদের কাছে এসে পৌঁছলেও এতে তারিখ উল্লেখ নেই। হজরত উমর (রা.) ১৭ হিজরিতে তারিখ নির্ধারণের বিষয়ে পরামর্শ করার জন্য বিশিষ্ট সাহাবায়ে কিরামদের সহযোগিতা চান।
এ সম্পর্কে আয়োজিত সভায় সাহাবায়ে কিরামদের কেউ নবুওয়াতের সূচনা থেকে তারিখ গণনার প্রস্তাব দেন। কেউ প্রস্তাব দেন হিজরত থেকে আবার কেউ রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ওফাতের দিন থেকে তারিখ গণনার। সাহাবায়ে কিরামদের এসব প্রস্তাব শোনার পর হজরত উমর (রা.) হিজরতের দিন থেকে ইসলামি তারিখ গণনার পক্ষে বলেন। তিনি যুক্তি দেখান হিজরতের মাধ্যমে সত্য ও মিথ্যার পার্থক্য সূচিত হয়। সাহাবারা এ প্রস্তাবকে সাদরে গ্রহণ করেন।
নতুন বছর হোক আল্লাহর রহমত, শান্তি ও কল্যাণে ভরপুর। হিজরি ১৪৪৭ সাল আপনাকে ও আপনার পরিবারকে এনে দিক অফুরন্ত বরকত ও রহমত।
মুহররম মাস মুসলমানদের জন্য আত্মবিশ্লেষণ, আত্মশুদ্ধি ও শান্তির বার্তা বহন করে।
আশুরা (১০ মহররম) এই মাসের ১০ তারিখে নানা ঐতিহাসিক ও ধর্মীয় ঘটনা সংঘটিত হয়েছে
যেমন হজরত ইমাম হোসাইন (রা.)-এর কারবালার শহীদ হওয়াসহ আরো অনেক ঘটনা।
https://slotbet.online/