◑◑শিব্বীর বিন রশীদ◑◑
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কর্তৃক আয়োজিত গতকালের মহাসমাবেশের এই জনসমুদ্র সুষ্ঠু রাজনীতিতে নতুন মেরুকরণ সৃষ্টি করবে বলে মনে করছেন রাজনীতিক বিশ্লেষকগণ।
তারা বলেন,আঞ্চলিক আধিপত্যবাদ মুকাবেলায় ইসলাম ও দেশপ্রেমিক শক্তির ঐক্যবদ্ধ হওয়ার পরিবেশ তৈরি হচ্ছে এরমাধ্যমে।
নিরপেক্ষ, নির্দলীয় গুণীজন জানান, বাংলাদেশে (জামায়াত ব্যতিত) অন্য কোন ইসলামি রাজনৈতিক দল এরকম বিশাল গণসমাবেশ চলমান মুহূর্তে করতে পারবে বলে মনে হয় না।
ইসলামী আন্দোলন বিদ্বেষী নির্দিষ্ট দলের সমর্থকদের অতি গালিগালাজে জনসাধারণ খুবই বিব্রতবোধ করবে এবং ইসলামি রাজনীতিতে একারণে অকাল ধ্বস নামবে বলে মন্তব্য করেছেন সুচিন্তক ওলামা-ত্বলাবা।
সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখা গেছে — জমিয়তের কতিপয় সমর্থক তাদের স্বভাবসিদ্ধ বিরোধের দরুন গতকালের মহাসমাবেশকে খুবই খারাপ ও নিকৃষ্ট দেখেন এবং গালাগালি ও কাদাছোড়াছুড়িতে তারা ইতিহাস গড়ে তোলেন।
সাধারণ মানুষ বলছে,এতে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের কিছু দোষ রয়েছে। তারা যদি শীলিত সাবলীল কোন মন্তব্য করতেন (যেটা সবাইকে স্বভাবগত ক্রোধ থেকে বিরত রাখত) তাহলে এ মহাসমাবেশকে ঘিরে এতো নীচু স্বভাবের পরিচয় দিতে হতো না আজ।কিন্তু তারা তা না করে বরং নিশ্চুপ থেকেছেন, যা এসবে তাদের মৌন সমর্থন আছে বলে মনে হয়েছে।
আইএবি’র এ মহাসমাবেশ নিখুঁত ছিল না,তবে এতে সবচেয়ে ভালো দিক ছিল— দেশের প্রায় সকল রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দের উপস্থিতি ও মনখোলে বক্তব্য প্রদান এবং সুষ্ঠু পরিচালনা। যা ইতিপূর্বে বাংলাদেশের ইতিহাসে হয়েছে বলে মনে হয় না।
আর হ্যাঁ,অনেক ত্রুটি হয়েছে এবং হওয়াও স্বাভাবিক। তাই বলে কি মোটেও পছন্দের কিছু ছিল না? আর থেকে থাকলে হিংসাকে দূরে রেখে কেন সেটাকে স্বীকার করতে জানে না নির্দিষ্ট দলদ্বয়! বাস্তবতা হল হিংসা মানুষকে হিংস্র করে তোলে।
জামেয়া দরগাহ সিলেট
https://slotbet.online/