◑মাহমুদুর রহমান নাঈম◑স্টাফ রিপোর্টার
জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর থেকে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় হয়ে উঠে জুলাই ঘোষণাপত্র। এ নিয়ে রাজপথে আন্দোলন করেছেন জুলাই যোদ্ধারা। তারা বারবার দাবি তুলেছেন ঘোষণাপত্র প্রকাশের। কিন্তু সব দাবির পরও দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেছে—জুলাই ঘোষণাপত্র প্রকাশ করা হয়নি।
শেষ পর্যন্ত এনসিপি নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহর আহ্বানে দলমত নির্বিশেষে রাজপথে নামে ছাত্রজনতা। তার আশ্বাস ছিল—আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের ঘোষণা দেওয়া হবে এবং ত্রিশ কার্যদিবসের মধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করবে। এই আশ্বাসে রাজপথ ছেড়েছিল আন্দোলনকারীরা।
কিন্তু ত্রিশ কার্যদিবস পার হয়ে গেলেও এখনো প্রকাশ করা হয়নি সেই ঘোষণাপত্র। এনসিপি জানিয়েছে, আগামী ৩ আগস্ট তারা জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করবে।
এ বিষয়ে ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশ (আপ বাংলাদেশ)-এর আহ্বায়ক আলী আহসান জুনায়েদ বলেন, ‘আমরা কোনো রাজনৈতিক দল বা নেতার ডাকে রাজপথে নামিনি। তিনি আরও বলেন, ‘জুলাই ঘোষণাপত্র ছাড়া এই রাষ্ট্রে জনগণের অধিকার আদায়ের কোনো পথ নেই। এই জাতির প্রত্যাশা পূরণে জুলাই ঘোষণাপত্রই একমাত্র বিকল্প। শহীদ পরিবার ও আহত যোদ্ধাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার গ্যারান্টি সরকারকেই দিতে হবে—এটাই এখন সময়ের দাবি।’
জুলাই যোদ্ধা, ইনকিলাব মঞ্চের সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের বলেন, ‘হাসনাত আব্দুল্লাহর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই চলছিল আমাদের আন্দোলন। সেই ধারাবাহিকতায়ই আমরা যমুনার অবস্থান কর্মসূচিতে একাত্মতা প্রকাশ করতে গিয়েছিলাম। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে সরকার ত্রিশ কার্যদিবসের মধ্যে জুলাই ঘোষণাপত্র প্রকাশ করতে পারেনি। এটি শুধু সরকারের ব্যর্থতাই নয়, বরং জনগণকে অবহিত না করে দায়িত্বহীনতারও পরিচয়।’
‘আমরা সরকারের এ ধরনের আচরণের তীব্র নিন্দা জানাই। এটি নতুন কিছু নয়—সরকার এর আগেও দু’বার ছলচাতুরির মাধ্যমে জুলাই ঘোষণাপত্র প্রকাশের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছে। বাস্তবতা হলো, তারা এবারও তা পারেনি এবং ভবিষ্যতেও পারবে বলে মনে হচ্ছে না।’
তিনি বলেন, ‘এই পরিস্থিতিতে আমরা ১ জুলাই ‘লাল মার্চ’ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছি। এই কর্মসূচিতে সকল সংগঠনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে—জুলাই ঘোষণাপত্র কোনো একক দলের দলিল নয়, এটি হতে হবে বাংলাদেশের আপামর জনতার পক্ষ থেকে।’
তার মতে, নাহিদ ইসলাম চাইলে তার দলের পক্ষ থেকে একটি ঘোষণাপত্র প্রকাশ করতেই পারেন, তবে সেটি যদি সাংবিধানিকভাবে, সরকারিভাবে স্বীকৃতি পায়, তাহলে আমাদের আপত্তি থাকবে। কেননা, তা একটি একক রাজনৈতিক দলের ঘোষণায় রূপ নেবে—যা জুলাই আন্দোলনের মূল চেতনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
https://slotbet.online/