◑মাহমুদুর রহমান নাঈম◑ ঢাকা প্রতিনিধি

আজ সোমবার(৩০ জুন) অক্ষরের স্টাফ রিপোর্টা পুনাব এবং প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি ঐক্যের সাথে জুলাই ঘোষণা পত্র নিয়ে কথোপকথনের সময় কাজী মোহাম্মদ ইলাত হোসাইন এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, জুলাই ঘোষণা পত্র একটি ঐতিহাসিক ও নৈতিক স্বীকৃতি, যা আন্দোলনের অংশগ্রহণকারীদের ত্যাগ ও সংগ্রামের মূল্যায়ন করে। এই আন্দোলন ছিল জনগণের আত্মপরিচয়ের লড়াই এবং শাসনতান্ত্রিক পরিবর্তনের দাবিতে এক ঐতিহাসিক উত্তরণ। ইন্টেরিম সরকার এখনো জুলাই সনদ ঘোষণা না করায় এক ধরনের রাজনৈতিক দূর্বলতা ও অস্বচ্ছতা দেখা যাচ্ছে, যা হতাশাজনক। জনগণের প্রত্যাশা ছিল, ইন্টেরিম সরকারই প্রথম এই পদক্ষেপ নেবে।

তিনি অক্ষরকে জানান, এনসিপি যখন জুলাই সনদ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে, তখন সেটি একটি স্পষ্ট রাজনৈতিক অবস্থান ও একপাক্ষিক সাফাই প্রতিফলন হিসেবে ধরা যায়। এটি দেখায় যে তারা আন্দোলনের চেতনাকে একক পুঁজি করে , তাঁদের রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠা করতে চায়। যদিও এটি এখনো ঘোষণা পর্যায়ে আছে, বাস্তবায়ন ও সর্বজনীন স্বীকৃতি পাওয়াটাই আসল চ্যালেঞ্জ। তবে এটি একটি ইতিবাচক সূচনা, যা অন্য রাজনৈতিক শক্তিগুলোকেও চাপ সৃষ্টি করতে পারে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের জন্য।

সার্বিকভাবে, এই ঘোষণাকে আমরা আন্দোলনের সম্মান এবং ইতিহাসের পুনর্নির্মাণের একটি পদক্ষেপ হিসেবে দেখি, যা সত্য ও ন্যায়বিচারের পথে আগামীর ভিত্তি হতে পারে। তবে কারো একক ক্রেডিট এক পাক্ষিক জুলাই সনদ ঘোষণা করার অধিকার কারো নেই জুলাই আন্দোলনের সনদ ঘোষণা করতে হলে দেশের সকল সাধারণ জনগণ, সাধারণ শিক্ষার্থী, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান সহ ইসলামি রাজনৈতিক সংগঠন সবাই কে নিয়ে ঘোষণা পাঠ করতে হবে যা হবে নতুন বাংলাদেশ গঠনে সহায়ক ভূমিকা সবার অংশীদারিত্ব নিশ্চিত করা। সবার অবদান কে শিকার করা।

তিনি আরও বলেন, এনসিপি যদি এই একক সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে না পারে তাহলে তারা সেই আওয়ামী খুনিদের মতো যেমন ৭১ এর চেতনা হাইজেক করে গাদ্দারী করেছে ঠিক ঐই ভাবে গাদ্দার হিসেবে জনগণের কাছে প্রকাশ পাবে।