সুনামগঞ্জে জমিয়ত নেতা মাওলানা মোস্তাক আহমদ গাজীনগরীর (৫২) খুনিদের বিচার দাবিতে ব্লকেট কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। রোববার বিকেল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে অংশ নেন সুনামগঞ্জ জেলার বিভিন্ন অঞ্চলের জমিয়ত কর্মীসহ বিভিন্ন সংঠন ও পেশাজীবিরাও।

অপর দিকে রোববার (০৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর পুরানা পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে হুঁশিয়ারি দেন মহাসচিব আল্লামা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী। তিনি বলেন; মাওলানা মোস্তাক আহমেদ নিজ এলাকায় অত্যন্ত জনপ্রিয় নেতা ছিলেন। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে যারাই জড়িত দ্রুত চিহ্নিত করে করে বিচার নিশ্চিত করতে হবে।

সুনামগঞ্জ- ৩ আসনের জমিয়ত প্রার্থী মাওলানা হাম্মাদ আহমেদ গাজিনগরী বলেন;

মোস্তাক গাজিনগরী একজন সুপরিচিত আলেম। তাকে গুম করে হত্যার ঘটনা কেউ মেনে নিতে পারছিনা। স্বেচ্ছায় জনগণ রাস্তায় নেমে এসেছেন। পুলিশ বারবার আশ্বাস দিলেও খুনিদের গ্রেপ্তার করছেন না। আমরা প্রশাসনের আশ্বাসে এখন আর বিশ্বাসী হতে পারছি না। আগামীকাল সুর্যোদয়ের আগে খুনিদের গ্রেপ্তার করা না হলে দেশব্যাপী গণআন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

জেলা জমিয়তের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা তৈয়বুর রহমান চৌধুরী বলেন,

মোস্তাক গাজিনগরীকে গুম করার পর হত্যা করে নদীতে ফেলা হয়। প্রশাসন খুনিদের ধরতে ব্যর্থ হয়েছে। প্রশাসন বার বার আশ্বাস দেয় কিন্তু খুনিরা গ্রেপ্তার হয় না। এমন টালবাহানা বরদাশত করা হবে না। আসল সত্য হলো খুনিদের ধরতে পুলিশ গরিমসি করছে। মোস্তাকের খুনি প্রশাসনের নজরে রয়েছে। তবুও তারা নিরব দর্শকের ভূমিকায়। আমরা আগামীতে কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো।
সুনামগঞ্জ -৪ আসনের জমিয়ত প্রার্থী মাওলানা মোখলেছুর রহমান চৌধুরী বলেন,

আমরা খুবই মর্মাহত। একজন নিরপরাধ আলেমকে খুন করা হলো, অথচ পুলিশ খুনিদের গ্রেপ্তার করতে পারছে না। খুনিদের বিচার না হলে আইনশৃঙ্খলা অবনতি ঘটতেই থাকবে। আগামীকালের ভেতরে খুনিদের সনাক্ত করা না হলে আপনারা ছাড় পাবেন না।

শান্তিগঞ্জ উপজেলার জমিয়তের সভাপতি মাওলানা ইলিয়াস আহমদ বলেন;
আজকের ব্লকেড কর্মসুচি থেকে প্রশাসনকে স্পষ্ট জানিয়ে দিতে চাই অতিদ্রুত মোস্তাক আহমদ গাজীনগরীর খুনিকে গ্রেফতার করতে হবে, অন্যতায় আমরা পরবর্তীতে কঠোরভাবে পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবো।।